বিশেষ সংবাদদাতা,কলকাতা;করোনা সংক্রমণে হাওড়া রেড স্টার পর্যায়ে পড়েছে। তাই রাজ্য সরকার সেখানে লকডাউন কার্যকর করতে যথেষ্ট কড়া অবস্থান নিয়েছে। কিন্তু মঙ্গলবার বিকেলে সেই হাওড়ার টিকিয়াপাড়ার কন্টেইনমেন্ট জোন বেলিসিয়াস রোডে লকডাউন ভেঙে জমায়েত হয়েছিল বহু মানুষ। খবর পেয়েই সেখানে ছুটে যায় পুলিশ। ভিড় সরিয়ে দিতে গেলে দুষ্কৃতীরা চড়াও হয় পুলিশের ওপর। ছুটে যায় র্যাফ। কিন্তু র্যাফকেও আক্রমণ করে তারা। পুলিশ ও র্যাফকে লক্ষ্য করে পাথর ছোঁড়া হয়। ভাঙচুর করা হয় দুটি পুলিশের গাড়ি। দুষ্কৃতীদের আক্রমণে জখম হন ২ জন পুলিশ কর্মী।
ঘটনায় রাজ্য জুড়ে রীতিমতো সমালোচনার ঝড় ওঠে। লকডাউন ভেঙে মানুষের এ ভাবে জমায়েত হওয়ার নিন্দা করেছেন বিভিন্ন প্রেক্ষিতের মানুষ। পুলিশ ও র্যাফের ওপর আক্রমণকারীদের বিরুদ্ধে কড়া শাস্তির দাবি জানিয়েছেন অনেকেই। ঘটনার পরই প্রথম মুখ খোলেন রাজ্যের মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। দুষ্কৃতীদের তীব্র সমালোচনা করে তিনি বলেছেন, ‘এই ঘটনাকে ধিক্কার জানাই। যারা দোষী, তাদের চিহ্নিত করে শাস্তি দেওয়া হবে।’ পরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও টুইট করে জানিয়ে দেন, ‘যারা পুলিশের ওপর আক্রমণ করেছে, তাদের কাউকে ছাড়া হবে না। তাদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা হবে। রাজ্যের কোথাও আইনভঙ্গ করার ঘটনা কোনও ভাবেই বরদাস্ত করা হবে না।’ রাজ্য পুলিশও জানিয়ে দিয়েছে, তারা বিষয়টিকে হালকা ভাবে নিচ্ছে না। দোষীদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তবে ঘটনাটি নিয়ে রাজনৈতিক জলঘোলাও হতে শুরু করায় উদ্বেগ বেড়েছে প্রশাসনের। তার ই ঘটনার পরই পুলিশ যথেষ্ট কড়া মনোভাব নেয়। ইতিমধ্যে ছ’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে দুষ্কৃতীদের সংখ্যা ছিল তার চেয়েও আরও অনেক বেশি। প্রত্যেককেই ধরা হবে বলে পুলিশের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। রাতে এলাকার অবস্থা বেশ থমথমে রয়েছে। মোতায়েন রয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী।